নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

আল-আমিন, নীলফামারী প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২, ১২:৪১ পিএম
নীলফামারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নীলফামারীর ডোমারে বড়রাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বিনেশ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী এবং পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অভিযোগ করেছেন দুইজন অভিভাবক সদস্য। প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বড় রাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী দ্বীনেশ চন্দ্র রায় নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে ৭ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকায় নৈশ প্রহরী এবং পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তাছাড়া স্থানীয় পত্রিকায় সে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়নি। এর আগেও একই পদে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ও প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনার পর একই পদে দুই বছর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ৪ জন প্রার্থী সেই সময় ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে উক্ত পদে আবেদন করেছিলেন। পুর্বের কমিটি করোনা কালিন সমযের কারনে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারেনি। তাছাড়া পুর্বের দরখাস্ত কারীদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই পুনরায় একই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক চরম দূর্নীতির আশ্রয় নেয়। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যরা জানতে পেরে প্রতিবাদ করলেও প্রধান শিক্ষক তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।

বিদ্যালয়ের দুইজন অভিভাবক সদস্য জানান, উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভা আহব্বানসহ বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে গত ১০ আগস্ট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন তারা।

তারা আরো বলেন, আমরা নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাদের বাদ দিয়েই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের লোককে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে।

জানতে চাইলে, প্রধান শিক্ষক দ্বীনেশ চন্দ্র রায় জানান, আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির কোন বৈধতা ছিলনা। তাই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে ডেকে রেজুলেশন করে নিয়ম অনুযায়ী ৪ আগস্ট সেই বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করেছে তারা মিটিং আসেনি।

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার সাকেরিনা বেগম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস