যশোরে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২, ১২:২০ পিএম
যশোরে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

যশোরে গভীর রাতে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাত পৌঁনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী নৈশপ্রহরী ও সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জানা যায়, রাত পৌঁনে ২টার দিকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল যোগে ৩০-৪০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের ঘোপের বাসায় আক্রমণ করে।

তারা বাড়ির প্রধান ফটক ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে রাতের নীরবতা ভেঙ্গে মুহুর মুহুর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া ইটের আঘাতে বাড়ির সিকিউরিটি লাইট ও দোতলার জানালার বেশ কয়েকটি গ্লাস ভেঙ্গে ইট ভেতরে ঢুকে যায়। তারা গালিগালাজ করে এলাকা ত্যাগ করে।

এর পরপরই ওই হামলাকারী গ্রুপটি যশোর উপশহরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে চড়াও হয়। হামলাকারীরা বাড়ির সামনের সিকিউরিটি লাইট ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে।

এছাড়া হামলাকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে বাড়ির উপরের তলার বেশ কিছু জানালার গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এরপর হামলাকারী ওই গ্রুপটি একই এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এই হামলার পর গাড়িবহর নিয়ে শহরের কারবালায় অবস্থিত জেলা বিএনপির অপর যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তাদের দেয়া জয় বাংলা স্লোগানে রাতের স্তব্ধতা ভেঙ্গে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তারা বাড়ির দোতলা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বাড়ির বেশ কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙ্গে পড়ে। হামলাকারীরা এসময় নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করতে থাকে।

হামলার ঘটনার পরপরই কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ফেসবুকে লাইভে আসেন। সেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসী জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তাদের ও বিএনপির অন্য নেতাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।

তিনি বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য বলেন। অমিত বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রামে ভীত হয়েই রাতের আধারে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে এভাবে হামলা করা হচ্ছে।’

যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘রাত ১টার পরপরই আমরা ঘুমাতে গিয়েছি। দু-তিনটি গাড়ি ও ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলে লোকজন এসে আক্রমণ করে। তাদের হামলায় কাচ ভেঙে বিকট শব্দ হয়, আর অশালীন ভাষায় গালাগাল করতে থাকে তারা। সবাইকে শাসকদলেরই লোক বলে মনে হয়েছে। তবে কাউকেই সুস্থ সাভাবিক মনে হয়নি। পরে শুনলাম যে অন্য নেতাদের বাড়িতেও হামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এআই