শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আউশের ফলন দেখে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলার কৃষকরা উন্নত জাতের (ব্রি. ধান-৪৮) আউশ ধান চাষ করে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ফলন পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ১৯শ একাত্তর হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা হলেও আবাদ করা হয় ২২শ’ হেক্টর জমিতে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০হাজার’ মেট্রিক টন। উপজেলাব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা চাইতেও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী।
সরকারি ধান বিএডিসি, বেসরকারি বীজ কোম্পানির মধ্যে সুপ্রিম সিড কোম্পানি, এদের উল্লেখযোগ্য ব্রি-৪৮, ব্রি-৮২ নম্বর ধানের বীজগুলো ভালো ফলন দিয়েছে। মূলত হাইব্রীড ধান বীজ যেকোনো মৌসুমে ভালো ফলন দিয়ে থাকে।
আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত এ উপজেলার কৃষক আউশ মৌসুমে স্থানীয় জাতের বীজ আবাদ করতো। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে আগ্রহ হারাচ্ছিল। চলিত মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় আউশ চাষে কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
এদিকে উপজেলার গোসাইরহাট ইউনিয়নের বিল্লাল বেপারী বলেন, আমাদের বাপ-দাদাদের আমল থেকে আমরা আমাদের চাষের জমি থেকে ধান বীজ সংগ্রহ করে সাধারণ চাষাবাদ করতাম। এতে সমস্য হলো বিভিন্ন ধরনের মিশ্রিত ধান হতো এবং ফসলও কম হতো। ফলে আধুনিক চাষাবাদের তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির উন্নতমানের হাইব্রিড ধান বীজ সংগ্রহ করে ভালো ফলন ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, এই উপজেলার কৃষকরা পূর্বে স্থানীয় আউশ ধানের আবাদ করত। এই বছর সরকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও বীজ, সার দিয়ে চাষিদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করেছে। এতে কৃষকেরা উৎসাহিত হয়ে ব্যাপক চাষ করেছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
এসএম