কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে একতারপুর গ্রামের মৃত জামিন উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেন (৬৮) দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগতেছিলেন হঠাৎ তার অবস্থা বেগতিক হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে রাত ৯ টার দিকে ভর্তি করেন। শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত আকরাম হোসেন (৬৮) অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে থাকেন তার স্বজনেরা ওয়ার্ডে কোন বেড না পেয়ে কেবিন নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নার্সিং রুমে নাইট ডিউটিরত সেবিকা মমতাজ বেগম ও রিনা খাতুনের সাথে কাবিন ভাড়া নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। রোগীর লোক বলে আমার কাছে এক হাজার টাকার নোট আছে সেবিকারা বলেন ভাংতি টাকা নেই ভাঙিয়ে আনেন। রোগীর লোক বলে আগে তাকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন টাকা আমি ম্যানেজ করে এনে দিচ্ছি, নার্সরা বলেন আগে টাকা দিবেন তারপরে কেবিন খোলা হবে এবং অক্সিজেন পাবেন। এদিকে ১৫-২০ মিনিট ধরে বিনা চিকিৎসায় ছটফট করতে থাকেন তারপর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে পরিবারের দাবি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে জীবনের থেকে টাকার মূল্য বেশি হয়ে গেল এভাবে হাওমাও করে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন মৃত আকরাম উদ্দিন`র নাতি ছেলে রানা আহমেদ, তিনি বলেন ওই দুই নার্স মমতাজ ও রিনার আমি কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।
এ রকম অমানবিক ঘটনায় ওয়ার্ডে ভর্তি সকল রোগী বেরিয়ে আসেন, হাসপাতালের আশপাশের স্থানীয়রাও ছুটে আসেন সকলেই বলেন হাসপাতালে নার্সদের ব্যবহার খুবই জঘন্য। আজ তাদের অবহেলায় ঐ রোগীটির মৃত্যু হয়েছে।
রোগীটি মারা যাওয়ার পরে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান সোহেল ঘটনা স্থলে হাজিরহন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি না হলেও সে সময় স্থানীয়দের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন। সে সময় ভর্তি রোগীরা বলেন, আমরা তেমন কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছিনা এবং নার্সদের চরম দুরব্যবহারে আমরা অতিষ্ট প্রতিটি পদে পদেই আমাদের কে টাকা দিতে বাধ্য করে এদিকে হাতের কেননা খুলতেও ২০ টাকা করে নেয় নার্সগন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কেএস