চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে চাকরীচ্যুতের অভিমানে শতফুল বাংলাদেশ নামক এনজিওর এক মহিলা মাঠকর্মী আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার নেজামপুর গুয়াবাড়ীর আব্দুল মালেকের ছেলে তাবারোক হোসেনের ভাড়া বাড়ির শয়নকক্ষের ফ্যানের লোহার হুকের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান জানান, রাজশাহীর চারঘাট থানার বনেশ্বর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে দিলরুবা খাতুন(২৮)। নিহত দিলরুবাকে গত ৫ সেপ্টেম্বর/’২২ তারিখে বরখাস্ত করা একটি চিঠির নীচোংশে সুইসাইড নোট সূত্রে জানাগেছে, শতফুল বাংলাদেশ নামক এনজিওর মাঠকর্মী দিলরুবাকে এরিয়া ম্যানেজার নুরজাহান স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠিতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চাকরীচ্যুত করেন। এরই ক্ষোভে ও হতাশায় ওই মাঠকর্মী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
একই ফ্লাটে থাকা প্রয়াস’র মাঠকর্মীর মা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভাত পাকের জন্য চাউল বের করে দিয়ে দিলরুবার শয়নকক্ষে দরজা লাগিয়ে দেন। প্রয়াসের ওই মাঠকর্মী বাড়িতে ফিরে দিলরুবাকে খাবার জন্য বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেন। ভিতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে খবর দেন। বাড়িওয়ালা ও প্রতিবেশীরা দিলরুবার মোবাইলে ফোন দিলেও কোন উত্তর না পেয়ে তাদের সন্দেহ হলে বিষয়টি নাচোল থানাপুলিশকে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের দরজার খিল ভেঙে ফ্যানের লোহার হুকের সাথে ওড়নায় ফাঁস লাগা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে ওই ঘর থেকে উদ্ধার করা বরখাস্তের চিঠির শেষাংশে দিলরুবা “আমার জীবনটানষ্ট করে দিল এরিয়া মেডাম আর জোনাল স্যার। আমি কোন ছেলের সাথে প্রেম করিনা, কারো সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আমাকে রাস্তার মেয়ে বানিয়ে দিলো। আমি মারা গেলে এরিয়া মেডাম আর জোনাল স্যার দায়ি থাকবে” এমন কথা লিখা ছিল সুইসাইড নোটে।
তার অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এব্যাপারে নাচোল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এবিষয়ে শতফুল বাংলাদেশে’র নেজামপুর শাখা ব্যবস্থাপক মুঞ্জুর রহমানের সাথে ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন তথ্য দিতে অপারগোতা প্রকাশ করেন। এমনকি মাঠকর্মী দিলরুবাকে বরখাস্তের কারণও জানাতে চাননি।
এসএম