নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ২২ নেতা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন।
বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো.আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেওয়া হয়।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহেমেদসহ ২২ জন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই য়াম খন্দকার ২২ নেতার জামিনের বিষয়টি জানিয়েছেন।
আসামিপক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মো. মাহাবুবুর রহমান খান, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, ব্যারিস্টার মার-ই য়াম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট মো. নুরুল হুদা।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৮০০ থেকে ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সদর মডেল থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান।
এদিকে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পুলিশের দায়ের করা মামলায় সরকার মুজিবুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু মুজিবুরের পরিবারের দাবি তিনি একজন ব্যবসায়ি এবং সুতা ব্যবসায়িদের সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের পরিচালক।
গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর মডের থানার ওসি (তদন্ত) সাঈদুজ্জামান।
টিএইচ