মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধামারণ গ্রামের বিলের মধ্যে শাপলা কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে তারা আকস্মিক বজ্রপাতে নিহত হয়।
নিহত তিন শিশুর নাম রামিম, রবিউল ও সানজিদা। তাদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রামিম, রবিউল, সানজিদাসহ অপর এক শিশু বাড়ির পাশের বিলে শাপলা কুড়াতে যায়। দুপুর দেড়টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাত হলে চার শিশু আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তিনজনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এস এম ফেরদৌস জানান, দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের সবাই মৃত ছিল।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, আমার এলাকায় বজ্রপাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ সদর হাসপাতালে রয়েছে। এদের মধ্যে সানজিদা ও রামিম নানিবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই ও বোন। অপর শিশু নিহত রবিউল সানজিদা ও রামিমের মামাতো ভাই। রবিউল ধামারণ গ্রামের মমিন আলীর ছেলে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, সানজিদা টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামের সাইফুল মোল্লার মেয়ে এবং রামিম একই গ্রামের কামালের ছেলে। সানজিদা ও রামিম স্থানীয় মাদরাসায় পড়ে। মাদরাসার ছুটিতে তারা গত বৃহস্পতিবার ধামারণ গ্রামের মামা মমিন আলী ব্যাপারীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মো. রাজিব খানও বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এসএম