বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল পাথরঘাটার জেলেরা

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০৯:১১ পিএম
বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল পাথরঘাটার জেলেরা

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটিয়ে সাগরে মাছ শিকার শেষে পাথরঘাটা উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে একের পর এক ট্রলার। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।

হতাশ জেলেরা বলছেন, তেলের দাম বৃদ্ধি আর যা পেয়েছি তা বিক্রি করে খরচ উঠবে না। এর উপরে বন বিভাগের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ উপকূলের জেলেরা। আর মৎস্য বিভাগ বলছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মাছের সংখ্যা কম তবে সামনে মাছ বাড়বে।

বৈরী আবহাওয়ায় নাকাল পাথরঘাটা উপকূলের জেলেরা। এতে গেল তিন সপ্তাহ সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারেননি জেলেরা। অবশেষে বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সাগরে মাছ শিকারে ট্রলার নিয়ে যান জেলেরা। এখন প্রতিদিনই এসব ট্রলার একে একে ঘাটে ভিড়ছে। কিন্তু জেলেদের মুখে নেই হাসি। বলছেন, সাগরে জাল ফেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। জেলেরা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি থাকার কারণে খরচ বেড়ে গেছে, এর আগে যে পরিমাণ মাছ পেতাম এখন আর সেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। যে খরচ হচ্ছে মাছ বিক্রি করেও তা তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে জেলেরা অভিযোগ করে বলেন বৈরী আবহাওয়ায় সুন্দরবনে আশ্রয় নিতে গেলে বন বিভাগ ও এর স্মার্ট বাহিনীর চাঁদাবাজির শিকার উপকূলের সকল জেলেরা, এটি তদন্ত করে দ্রুত বন্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।

আরো জানায়, গভীর সমুদ্রে মাছের সংখ্যা খুবই কম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ লেগেই আছে, এতে সাগরে জাল ফেলতে পারি না তার আগেই উপকূলে উঠে আসতে হয়, এই আসা-যাওয়ায় আমরা লসে আছি, তার ওপারে তৈলের দাম বৃদ্ধি আগে একটি তলারে ১ লাখ টাকা খরচ হলে এখন এখন ২ লক্ষ টাকা গুনতে হয় আমাদের। আর ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের দাম অনেক বেশি। চাহিদা বেশি, তবে জোগান কম হওয়ায় দাম বেশি।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গভীর সমুদ্র মাছ আছে তবে নদ নদীতে মাছের সংখ্যা অনেকটা কম এটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, চাঁদাবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঊর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

পাথরঘাটায় মোট জেলের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। আর নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১১ হাজার ৪১১জন।

এসএম