পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একই পরিবারের ৪ জনকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণাংলার নিয়ে গেছে চোরচক্র, বেড়েছে চুরির উপদ্রব। রোববার রাতে উপজেলার চাড়াখালী গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর শিকদারের ঘরের জানালা ভেঙ্গে চেতনানাশক স্প্রে করে সবাইকে অচেতন করে নগদ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, তিন জোড়া কানের দুল ও দুটি আংটি সহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোরচক্রটি। পরে রাত ২ টার দিকে তার ছোট মেয়ে তাইয়েবা আক্তার ওয়াসরুমে যাওয়ার জন্য তার মাকে ডাকলে সে কথা বলতে পারছে না এবং তার বাবাকেও অচেতন দেখে আত্মীয় স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর সিকদার ও তার স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তামান্না ও তাইয়েবাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। দীর্ঘদিন ধরে চোর চক্রটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে আসছে। কিন্তু এব্যাপারে প্রশাসনের কোন আইনগত অগ্রগতি নেই। এমনি তারা কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি।
এঅবস্থা চলতে থাকায় উপজেলাবাসীর মধ্যে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে কর্মহীন বেকারদের যারা বিভিন্ন শহর থেকে কর্মহারিয়ে গ্রাম এসে বসবাস করছেন আবার অনেকে বিভিন্ন খেলা কেন্দ্র করে উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারে চায়ের দোকানে জুয়ার আসর বসায় মধ্যরাত পর্যন্ত। জুয়া খেলার অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে জড়িয়ে পরছে চুরিতে এমন ধারনা স্থানীয়দের। সম্প্রতি ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বাড়ীতেত সিধেল চুরি হচ্ছে। আবার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি রিক্সা ভ্যান ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাও চুরি হয়েছে বেশ কয়েকটি। গত ২৯ আগস্ট দিন দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেট থেকে ড্রাইভারকে অচেতন করে অটোরিক্সাটি নিয়ে যায়। এব্যাপারে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ২ জনকে অটোরিক্সাটি নিয়ে যেতে দেখা গেলেও তাদের চিহিৃত করা যায়নি।
জাহাঙ্গীর শিকদারের ছেলে জানান, রাতে আমাদের বাসার জানালা ভেঙ্গে চোর ঢুকে চেতনানাশক স্প্রে করে সবাইকে অচেতন করে নগদ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, তিন জোড়া কানের দুল ও দুটি আংটি সহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিয়মিত টহল আরো জোরদার করা হয়েছে।
এসএম