ঢাকার ধামরাইয়ে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় ড্রাইভারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত ছিনতাইকারীদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের পাশে দেপাশাই মডেল স্কুলের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে তাদেরকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃত ওই ৫ জন ছিনতাইকারীরা হলো-পিরোজপুর জেলার নুরুজ্জামানের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন (২৯), পটুয়াখালীর হানিফ মিয়ার ছেলে মোঃ শওকত হোসেন (৩০), ঝালকাঠির আবুল কালাম আজাদের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (২৭), পটুয়াখালীর শাহজাহানের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৮), একই এলাকার সানো মিয়ার ছেলে নুরুল (৩০)। এসময় আটককৃতদের সঙ্গে দুটি ডিবি পোশাক, একটি ওকি টকি ও একটি মাইক্রোবাস ছিল।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মিরপুর থেকে মিজান পোল্ট্রি নামের এটি দোকানের মালিকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পিকআপে করে টাঙ্গাইলে মুরগী কিনার জন্য যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা সাভার উপজেলার নবীনগরের কাছাকাছি পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তাদের মাইক্রোবাসটি নিয়ে গতি রোধ করে ডিবি পরিচয়ে তাদের সবাইকে মাইক্রবাসে তুলে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে তাদের মারতে মারতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের পাল সিএনজির পাশে ফেলে দিয়ে মাইক্রোবাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এসময় ভুক্তভোগীরা একটি বাস গাড়িতে উঠে ছিনতাইয়ের বিষয়টি বললে বাসটি মাইক্রোবাসের পিছু নেয়। পরে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে জয়পুরা দিয়ে একটি আঞ্চলিক সড়কে ঢুকলে ভুক্তভোগীরা বাস থেকে নেমে আশপাশের লোকজনদের বিষয়টি জানায়। বিষয়টি শুনে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল চালিয়ে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের কাছে মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে।
এসময় ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ তাদের ধরে গণধোলাই দেয় এবং সোমভাগ ইউপি`র ভবনে চেয়ারম্যানের সহায়তায় আটকিয়ে রাখে। পরে রাতে পুলিশের কাছে সুপর্দ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান।
ভূক্তভোগীরা হলেন, বরিশালের সেলিমের ছেলে রমজান আলী (২৮), পটুয়াখালীর ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সোহাগ (২৭), কুমিল্লার জলিলের ছেলে ইয়াছিন (২৫), বরগুনার খলিল হাওলাদারের ছেলে শাফায়াত হোসেন মিঠুসহ (৩০)। এছাড়াও পিকাপের একজন ড্রাইভার ছিল যার পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ৫ জন ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপালে ভর্তি করেছি এবং ভুক্তভোগীরা থানায় এসেছেন। তারা মামলা করবে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এআই