চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের সময় আরও দুই বছর বাড়িয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সেই সঙ্গে ১০৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ও বেড়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির মেয়াদ ও সময় বাড়িয়ে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিডিএথর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।
এ নিয়ে তৃতীয় দফা মেয়াদ বাড়লো প্রকল্পটির। ফলে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ প্রকল্পে প্রায় ৩২ শতাংশ ব্যয় বাড়ছে।
প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পের নকশা সংশোধনের কারণে ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্প ব্যয় এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নকশাসহ বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে প্রকল্পটি নিয়ে। বন্দর এলাকায় শুরুতে যেভাবে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছিল সেভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্দরের নিরাপত্তার ব্যাপারটি মাথায় নিয়ে নতুন করে ডিজাইন করতে হয়। জমি অধিগ্রহণ করে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনের ক্ষতিপূরণও দিতে হচ্ছে। তাই এ প্রকল্প ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণথ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হলে শুরুতে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
কেএস