বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ১১ হাজার। এবারের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বন্ধের দিনেও খোলা রাখা হয়েছে বোর্ডের কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শনিবার বন্ধের দিনেও খোলা রাখা হয়েছে বোর্ড। এছাড়াও ৮টি স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছর ১ লাখ ৬১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১১ হাজার ১২২ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর ১ হাজার ৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২১৩টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১ লাখ ৫ হাজার ৯২০ জন শিক্ষার্থী ১২৫টি কেন্দ্রে, কক্সবাজারের ২৩ হাজার ৪৩১ জন শিক্ষার্থী ২৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।এছাড়াও তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটির ৭ হাজার ৬৫৮ জন শিক্ষার্থী ২১টি কেন্দ্রে, খাগড়াছড়ির ৮ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ২৩টি কেন্দ্রে এবং বান্দরবানের ৪ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এবারও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ছাত্র পরীক্ষার্থীর চেয়ে ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। ছাত্র পরীক্ষার্থী ৬৮ হাজার ২২৫ জন। ছাত্রী পরীক্ষার্থী ৮১ হাজার ৪৮৭ জন। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শনিবারও (১৭ সেপ্টেম্বর) অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠাতে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের প্যাকেটে ভরে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হবে। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের প্যাকেট যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এসব প্যাকেটের ওপর আরেকটি নিরাপত্তা প্যাকেট ‘নিরাপত্তা ট্যাগথ দিয়ে মোড়ানো থাকবে। এতে কেন্দ্রে পাঠানোর সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষার পূর্ব মুহুর্তে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে গঠিত ৮টি স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ৬০ টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম।
কেএস