এক রাতের টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে খুলনা শহরের অধিকাংশ এলাকা। সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অধিকাংশ সড়কই এখন পানির নিচে। ফলে যানবাহন চলাচল ও যাতায়াতের ভোগান্তিতে, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টিতে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় (বুধবার সকাল ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা) খুলনায় রেকর্ড ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রাত ১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার।
রাত থেকেই নগরীর অধিকাংশ বাড়ির নীচ তলা নিমজ্জিত। সড়কে যানবাহন চলাচলে পানির স্রোতে বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাটারের নিচ থেকে ঢুকেছে পানি। টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন কর্মজীবীরা। সকাল থেকেই সড়কে যানবাহন চলাচল ছিলো খুবই সীমিত। একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে গুনতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। বিশেষ করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষার্থীর। যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পড়তে হয়েছে বিপাকে। আর সবকিছুর পেছনে নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ড্রেন নির্মাণে ধীরগতিতে দুষছে সাধারণ জনগণ।
এছাড়া পানি নদীতে নামার খালগুলো দখল করে ভরাট করা ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
তবে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ভারি বৃষ্টি আর নদীতে জোয়ারের কারণে পানি উপচে পড়ে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া যে সকল স্থানে ড্রেনের কাজ চলছে, সেখান থেকে বাধ অপারেশনের অপসরণে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ১২০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কেএস