নারায়ণগঞ্জের আনাচে-কানাচে পাড়া মহল্লায় যএতএ ভাবে চলেছে লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা। মুদি দোকান, রাইস এজেন্সি, চায়ের দোকান গুলোতে ও দেখা যায় এই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। যারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বেশীর ভাগ বিক্রেতার এ ব্যবসা সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা নেই। যার কারণে যেকোন ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
তবে মানুষের অভিযোগ প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা হরহামেশাই বেড়ে চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বড় বড় বাজার ছাড়াও অলিতে-গলিতে মুদি দোকান ও চায়ের স্টল গুলোতে অনুমোদন ও লাইসেন্স বিহীন এ ব্যবসা চলছে। বড় বড় ট্রাক যোগে মেইন পয়েন্ট গুলোতে আর ছোট ছোট পিকআপ ও অটো রিকশা দিয়ে অলিতে-গলিতে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা হচ্ছে। যা পরিবহন ব্যবস্হা অতান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফতুল্লা, পাগলা, পঞ্চবটী প্রায় প্রতিটি পয়েন্ট জুড়ে এ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কোন অভিযান পরিচালনা না থাকার কারনে এ ব্যবসা তবিয়তে করতে পারছে।
জানা যায়, লাইসেন্স বিহীন কোন ক্ষেত্রে এলজিপি গ্যাস মজুদ রাখা যাবে তা উল্লেখ আছে। উল্লেখ্য আছে আগুন নিভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমান অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। আইন অমান্যকারীর জন্য দুই বছর এবং অনধিক পাঁচ বছরের জেল ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে অভিযান পরিচালনা না থাকার কারনে সুযোগ গুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসায়িরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বলেন, অগ্নিনির্বাপক আইনে যত্রতত্র ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করার নিয়ম নাই। তবে যারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকের লাইসেন্স থাকতে হবে। যারা লাইসেন্স বিহীন ও আইন বহিঃভূত কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
কেএস