টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবন্ধীর বাড়ির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই প্রতিবন্ধী।
উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম ও একই ইউনিয়নের কাকনিআটা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ওরফে লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযাগ দায়ের হয়। ভূক্তভোগী ওই গ্রামের মো. ওসমান আলীর ছেলে শারিরীক প্রতিবন্ধী মো. শাহ্-আলম।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বলিভদ্রের বাগুয়া মৌজার ৮৯৫ দাগে এবং ১১২৯নং দাগের জমি শারিরীক প্রতিবন্ধী মো. শাহ্-আলমদের ক্রয়কৃত। কিন্তু জাহাঙ্গীর মেম্বার, তার ভাই মঞ্জু মিয়া ও লোকমান হোসেন ১৪ শতাংশ জমি অবৈধভাবে বেদখল করেছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মেম্বার ও তার ভাই মঞ্জু মিয়া বাড়ি করার ৯ শতাংশ জমি দখল করে টিনের ছাপরা নির্মাণ করে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য লোকমান হোসেন ৫ শতাংশ দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণের পায়তারা করেছে। ইতোমধ্যে ভিত্তি দিয়ে একতলা ছাদ তৈরী করেছে লোকমান হোসেন।
এদিকে পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমির কাগজপত্র ঠিক থাকায় একাধিক সালিশী বৈঠকে রায় পান শাহ্-আলম। তারপরও দখল না ছাড়ায় প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
সালিশী বৈঠকে উপস্থিত থাকা ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন ও হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। তাঁরা কাউকে মানেন না।’
জমি দাতার ছেলে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘জমির ক্রয় সূত্রে প্রকৃত মালিক শাহ্-আলম।’
জানতে চাইলে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওই জমি আমাদের এজন্য ঘর তুলেছি।
অপর অভিযুক্ত লোকমান হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারণা করে সামাজিকভাবে হেয় করছে শাহ্-আলম। এগুলো ভিত্তিহীন।’
প্রতিবন্ধী মো. শাহ্-আলম বলেন, ‘জমিগুলো পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত। ক্ষমতার অপব্যববার করে বেদখল করেছে। এখন হত্যার হুমকী দিচ্ছে ওরা। এছাড়াও তিনটি জাল দলিল করেছে লোকমান। সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।’
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদারের মোবাইল নম্বরে চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন বলেন, ‘জমিগুলো ওই প্রতিন্ধীর। তার সকল কাগজপত্র সঠিক।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কেএস