নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর লক্ষীনারায়ণপুরে স্কুল ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতা হত্যার প্রতিবাদ ও দুত বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও শোক র্যালি করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী অদিতা হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল হয়ে উঠেছে নোয়াখালীর শিক্ষাঙ্গণ ও রাজপথ। এদিকে মুল আসামি প্রাইভেট শিক্ষক রনি কে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাব ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে মানববন্ধনে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা স্কুলছাত্রী অদিতা হত্যার প্রধান আসামি রনির ফাঁসি দাবি করেন।
এ সময় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সদর উপজেলা সভাপতি ও হরিনারায়ণ পুর উচ্চবিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যার যার জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোথাও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখলে প্রতিবাদে দাঁড়াতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। এসময় কিশোর গ্যাং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অদিতা হত্যাকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
অপরদিকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম, অপরাধী শনাক্তে চৌমুহনী ও মাইজদীতে একশত ষাটটি স্পটে দুইশতটি সিসি ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।
উলেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাবেক গৃহ শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে (২০), ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) গ্রেপ্তার করে। গতকাল আদালত রনির ৩ দিনের মঞ্জুর করে।
প্রাথমিকভাবে রনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে জানান পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, মুল আসামিকে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ড এনে হত্যায ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
কেএস