ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর, ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালজুড়ে রোগী ও স্বজনদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরজমিনে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডের মেঝেতে রোগী, বারান্দায় রোগী এমনকি প্রবেশ পথের সামনেও বেঞ্চ বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬ জন রোগীর স্থলে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৩ জন, শিশু ওয়ার্ডে গিয়েও দেখা যায় একই অবস্থা। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৪ জনের স্থলে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪১ রোগী। নির্ধারিত কক্ষের বারান্দায়ও স্থান না পেয়ে অনেকেই বাইরে চেয়ারে বসিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ২৬টি আসনের বিপরীতে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ জন রোগী। ইউনিটে রোগীর নির্ধারিত শয্যার ডানে, বামে, মাথার পাশে ও পায়ের পাশে মেঝেতে অতিরিক্ত শয্যা লাগিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেক রোগী ইউনিটের মেঝেতেও স্থান না পেয়ে বারান্দা ও প্রবেশপথে শয্যা বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসকরা জানান, গত কয়েকদিন ওয়ার্ডে ও বহির্বিভাগে হঠাৎ করে রোগী বেড়ে গেছে। এসব রোগীদের মাঝে বেশির ভাগই জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বহির্বিভাগের রোগীদের বেশির ভাগই চোখের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসিফ ইকবাল আমার সংবাদকে জানান, এখানে বছরজুড়েই শয্যার অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকে। মৌসুমি আবহাওয়াগত কারণে গত কয়েকদিন মেডিসিন, শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন-চার গুণ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে জনবল সংকট থাকার কারণে রোগীদের চাহিদামতো সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কেএস