পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর ভেঙে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বুধবার ভুক্তভোগী পরিবার মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের আলতাফ হাওলাদার, জসিম ও আরিফসহ একাধিক ব্যক্তির নামে এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোকলাখালী গ্রামের দিনমজুর সঞ্জয় চন্দ্র হাওলাদারের পিতা মৃত- রাখাল চন্দ্র হাওলাদারের কাছ থেকে ডোকলাখালি মৌজার ১৩৫ নং খতিয়ান এর ৪৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের আলতাফ হাওলাদার গংরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
রাখাল চন্দ্রর মৃত্যু পরে অভিযুক্তরা তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগ দখল না করে দিন মজুর সঞ্জীব এর বাড়ির সামনের অন্য খতিয়ানের ৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জোর পূর্বক দখল করে ভোগ দখল করার পাঁয়তারা করতে ৪-৫ দিন পূর্বে ওই জমিতে বালু ফেলে ভরাট করে এবং জমিতে পূর্বের নির্মানধীন একটি টিনের ঘর ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে সঞ্জয়ের মা ভিবা রানীর গলায় থাকা চার আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়া যায় অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী সঞ্জীব হাওলাদার আরও অভিযোগ করেন, ওই জমির কাছে গেলে তাদের খুন জখম করার হুমকি প্রদান করেন অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে ও মুঠোফোনে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদারের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কেএস