এখনও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্র লামিয়া

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৪:৩২ পিএম
এখনও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্র লামিয়া

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় অপহরণের নয় দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুল ছাত্র সামিয়া আক্তার লামিয়া (১৫)। এঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও মেয়ের খোঁজ না মেলায় আশংকায় রয়েছে পরিবার। তবে মামলা দায়ের করার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পরিবারের সদস্যরা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজির চর ইউনিয়নের ডিগ্রীর চর ৬ নং ওয়ার্ডের মো. আবু ছয়েম মাল এর মেয়ে প্যাদার হাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়া আক্তার লামিয়া (১৫)কে স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আসার সময় একই এলাকার মো. নুরু প্যাদার ছেলে সোহেল প্যাদা বিভিন্ন সময়ে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি সোহেল প্যাদার পরিবারকে জানানোর পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে সোহেল। ঘটনার দিন গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টারর দিকে সামিয়া আক্তার লামিয়া বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মুলাদী থানাধীন কাজিরচর ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর কলেজ রোড এলাকার গ্রামীন ব্যাংকের সামনে থেকে সোহেল প্যাদা সহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন মিলে লামিয়াকে বিয়েরন প্রলোভন দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী সামিয়া আক্তার লামিয়ার বাবা মো. আবু ছাইয়েম মাল জানান, আমার মেয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রী। ওকে ভুল বুঝিয়ে সুমন প্যাদা অপহারন করেছে। আমি প্রথমে মুলাদী থানায় একটি অভিযোগ দায়েরে করি। অভিযোগে তিনজন অথ্যাৎ সোহেল প্যাদা, তার বাবা মো. নুরু প্যাদা, ও ভাই সেলিম প্যাদাকে আসামি করে অভিযোগ দেই। কিন্তু পুলিশ আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেল প্যাদার বাবা ও ভাইকে বাদ দিয়ে মামলার এজাহার করে। অভিযোগের অনেকদিন পর মামলা হয় কিনস্তু আজ পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন খোঁজ পাইনি।

সামিয়া আক্তার লামিয়া পরিবারে সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, সোহেল প্যাদা বখাটে প্রকৃতির। সে যেকোন ধরনের অপরাধ মূলক কাজ করতে পারে। আমাদের মেয়ে কেমন আছে তাও জানি না। আমরা আইনশৃংখলা বাহীনি কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যাতে সামিয়া আক্তার লামিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, ওই স্কুল ছাত্রী বয়স অনেক কম। তাবে ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামীকে ধরতে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

কেএস