দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের ‘মধুমতী সেতু’ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ১০ অক্টোবর (সোমবার)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বেলা সাড়ে ১২টায় উদ্বোধন করবেন দেশের প্রথম ও একমাত্র ছয় লেনের এ সেতুটি।
সেতুটি শুভ উদ্ধোধনের জন্য শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নড়াইল প্রান্তের অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ, কে,এম শামীম আক্তার।
পরিদর্শনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নড়াইল জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোছাঃ সাদিরা খাতুন, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফখরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী,লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ার রহমান সহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বহুল কাঙ্ক্ষিত এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে বহতা মধুমতীর স্রোতধারায় বিভক্ত নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন হবে। এ সেতুর ফলে নড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা সহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ১০ জেলার মানুষের ঢাকায় যাতায়াতে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। এখানকার মানুষ আশা করছেন, মধুমতী সেতুর মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে সাধিত হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, আর্থসামাজিক চালচিত্র আমূল বদলে যাবে।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধানে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এ সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। ১২টি পিলারের ওপরে ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৭.১ মিটার প্রস্থের এ সেতুকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে এটির ১৫০ মিটার স্টিলের নেল-সন লসি আর্চ।
ধনুকের মতো বাঁকা এ স্প্যানটি জাপানের নিপ্পন কোম্পানি ভিয়েতনামে তৈরি করেছে। সেতুতে মোট এবাডমেট রয়েছে ২টি, ১৩টি স্প্যান ও ১৬০টি গার্ডার। সেতুর ৪.২৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে। এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে চলবে দ্রুতগতির যান, বাকি দুটিতে ধীর গতিসম্পন্ন যানবাহন চলাচল করবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা।
এআই