ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রায় শতভাগ ডিজিটাইজড। এর সুফল দেশের প্রান্তিক মানুষ পেতে শুরু করেছে।
প্রস্তুতি শেষ করে কয়েক মাসের মধ্যেই ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পদ্ধতি শতভাগ অনলাইনভিত্তিক করা হবে। তখন অফিস থেকে নগদ টাকা দেওয়ার মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া ও দাখিলা পাওয়া যাবে না। সেবাগ্রহীতাদের সরাসরি অফিসে যেতে হবে না। এতে দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হবে। খুলনা বিভাগে ভূমির ই-নামজারিতে গড় নিষ্পত্তির সময় এখন ৪৫ দিনের মতো। এ সময়কে আরও কমিয়ে আনতে হবে। নামজারির কোনো আবেদন বাতিল করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবশ্যই বাতিলের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘ভূমিসেবা ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ই-পর্চা ডাকযোগে আবেদনকারীর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে খুলনা জেলা প্রায় শতভাগ সফল উল্লেখ করে সচিব অন্য জেলাগুলোকে খুলনার মতো পদ্মতি অনুসরণের আহবান জানিয়ে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, ই-মিউটেশনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব সেবা অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য মোবইল অ্যাপস ‘বার্তা’ শিগগিরই চালু হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেবা গ্রহীতাদের জন্য হৃদয়ে মমত্ববোধ থাকতে হবে। দাপ্তরিক কাজকে নিজের কাজ মনে করলে সব সমস্যার সমাধান হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের পরিচালক মোজাফ্ফর আহমেদ এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) অংশ নেন।
এবি