মৌলভীবাজারের, জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডর চম্পকলতা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের বাড়ীর উত্তর পাশের পরিবারিক কবরস্থানের জায়গাজোর পূর্বক গাছ কর্তন করে নিয়ে যায় গাছ নিয়ে গেলেও থামেনি তাদের দখলের চেষ্টা।
এ ব্যাপারে সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের বোন রাবিয়া বেগম বাদী হয়ে জুড়ী থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছেন। থানা পুলিশ ঘটনা স্হলে পরিদর্শন করে যাওয়ার পর প্রবাসীর স্ত্রীকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে যে কোন সময় মান সম্মান আশংকা করছেন প্রবাসীর স্ত্রী।
সরেজমিনে মামলা ও চম্পকলতা গ্রামে গেলে একাদিক লোকজন জানান, প্রায় ৩ যুগ আগে সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম হাজী ইন্তাজ আলী প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের পিতা পারিবারিক গোরস্তানের জায়গা ক্ষয় করে ১৫ শতক জায়গা গোরস্তানের দান করে। এর পর থেকে একাদিক লোককে এ গোরুস্তানে দাফন করা হয়। এলাকার লোকজন আরো জানান সায়েস্তার আলী ও তার ছেলেরা জোর পূর্বক প্রায় ১০ মাস পূর্বে বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে নিয়ে যায় বিবাদীরা।
তারা আরো জানান, জোরপূর্বক জায়গাটি তাদের দখলে নিতে নতুন করে গাছ লাগাচেছ। প্রবাসী জয়নাল আবেদীন বাড়ি প্রবেশ পথে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্দোকতা করে যাচ্ছেন বিবাদীরা।
জুড়ী থানায় প্রবাসীর বোন রাবিয়া বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোক্তরা হচ্ছেন জুড়ী জায়ফরনগর ইউনিয়নের চম্পকলতা গ্রামের সাইস্তার আলী (৬৫) তিনির ছেলে লকুছ মিয়া (৩৩) নজরুল মিয়া (২৬) কামরুল মিয়া (২৩) করেন আমার আপন চাচা সাইস্তার আলী, অদ্য ১১ তারিখ জুড়ী থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে করা হয়৷ কবরস্থানের ভূমির জায়গায় নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাদী রাবিয়া বেগম জানান, আমার পিতার ক্ষয়কৃত- জুড়ী উপজেলার মৌজা- চম্পকলতা, জেএল নং ৬২, খতিয়ান নং ১৮৫, দাগ নং- ৮২০, বাড়ী রকম ১৫ শতক ভূমি (পারিবারিক কবরস্থান রয়েছে এটি দখলে নিতে তারা দীর্ঘ দিন থেকে পায়তারা করছেন।
মামলার বিবাদী সায়েস্তার ছেলে মুঠোফোনে জানান, এ জায়গার আমাদের কাগজ রয়েছে পুলিশ এসেছে থানায় যাওয়ার কথা বলেছে।
সৌদি প্রবাসী ছেলে রেদওয়ান হোসেন জানান আমার দাদা মৃত্যুর ৯ মাস হয়েছে আমার পাশের বাড়ির সাইস্তার আলী, আমার দাদার জায়গা কবরস্থানের জায়গা দখলে নেওয়ার জোর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হাছনা বেগম জানান, পুলিশ আমাদের ঘটনার তদন্ত করে যাওয়ার পর সাইস্তার আলী ও তিনির ছেলেরা আমাকে নানা খারাপ বাসায় কথা বার্তা বলছে এখন আমি তাদের ভয়ে বাড়ির গেইট বন্ধ করে আমি আছি যে কোন সময় আমার মান সম্মান ক্ষতি করতে পারে তারা এ আশংকায় দিন কাটছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ারের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলে ও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কেএস