ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার সাময়িক বরখাস্ত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৬:৩৮ পিএম
ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার সাময়িক বরখাস্ত

ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার গুতুরা বাজারের পি.জি. দারুচ্ছালাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. শরাফ উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান। এরআগে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে মাদ্রাসাটির পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরী সভার মাধ্যমে ওই সিদ্ধান্ত হয়।

সুপার শরাফ উদ্দিন (৫২) কলমাকান্দা উপজেলার মৌজে পোগলা গ্রামের ফটিক জামান খানের ছেলে।

এলাকবাসী ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর সরকারি বন্ধের দিনে মাদ্রাসার সুপার শরাফ উদ্দিন মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আতাউর রহমান সোনা মিয়ার মাধ্যমে ওই মাদ্রাসার সপ্তম ও চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ৪জন ছাত্রীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া কথা বলে মাদ্রাসায় ডেকে নেন। পরে এক পর্যায়ে কম্পিউটার কক্ষে এসব ছাত্রীদের  শ্লীলতাহানি করে সুপার। ছাত্রীদের এমন অভিযোগের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ হবার পর মাদ্রাসার সুপারের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে গত বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলে ফোঁসে ওঠে স্থানীয়রা। মিছিলে সুপারের সহযোগী আতাউর রহমান সোনা মিয়া বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিদের নিয়ে মাদ্রায় বসেন। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মাদ্রাসা সুপার শরাফ উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ। এদিকে, অপরাধে যুক্ত অভিভাবক সদস্য আতাউর রহমানকেও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসা সুপার শরাফ উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বিষয়টিতে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান জানান, মাদ্রাসা সুপার শরাফ উদ্দিনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্তের রেজুলেশনটি আগামী রোববার কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে পাঠানো হবে স্থায়ী বরখাস্তের আদেশ পেতে।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এফ এম ওয়াজেদ তালুকদার জানান, সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের রেজুলেশনটি তার কার্যালয়ে আসলে তিনিও তা ওই মহা পরিচালক বরাবরই পাঠাবেন।

কেএস