নীলফামারীর জলঢাকায় কোনো প্রকার ইজারা ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর বাজার এলাকার ধুমনদীতে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করায় তলদেশে তৈরী হয়েছে গভীর খাঁদ। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও তা মানেননি ভাবনচুর বাজার এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সেই ড্রেজার মেশিনের স্থানেই যন্ত হোসেন নামে এক ১২ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যন্ত হোসেনের বাড়ি দিনাজপুর পৌরশহরে। তার নানা পূর্ব গোলমুন্ডা ঘোরামারা এলাকার মৃত আওলাদ হোসেন মিনুর বাসায় বাবা মায়ের সাথে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার দুপুরবেলা তার বাবা এবং বড়ভাইসহ ধুমনদীতে গোসলের জন্য যায়। মিজানুর রহমান যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেছিল সেই স্থানেই যন্ত হোসেন তার বড়ভাইসহ নদীতে নামা মাত্র গভীরে তলিয়ে যায় এবং তার বড়ভাই উচুঁ স্থানে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়।
পরে নদীতে অনেক খোজাখুজির পরে যন্ত হোসেনকে উদ্বার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। যন্ত হোসেন দিনাজপুর জেলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, ‘‘প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মিজানুর রহমান কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই দির্ঘদিন ধরে ধুমনদীতে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করছেন,পাশ্ববর্তী জমির মালিক সহ আমরা অনেকবার তাকে বাঁধা করলেও সে আমাদের তথা শুনেনি। আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।’’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে কথা হয় তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের সাথে। শারমিন আক্তার বলেন,‘‘ আমরা কোন ইজারা নেইনি, নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করতাম, কিছুদিন থেকে তা বন্ধ রয়েছে।’’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলমুন্ডা ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা বিট অফিসার এস.আই আব্দুল হামিদ।
এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন,‘‘বালু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
এআই