খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ এর বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে কলেজের অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেন (৪৮) কে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব এ দন্ডাদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. কামাল হোসেন মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক। সে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মুসলিমপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মাটিরাঙ্গা উপজেলা রিসোর্স ইন্সট্রাক্টর মো. আজগর হোসেন জানান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বাউবি‘র অধীনে এইচএসসি প্রোগ্রামের সমাজ বিজ্ঞান ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে ‘জনৈক পরীক্ষার্থীর মোবাইল উত্তরপত্র প্রেরণ করেন মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেন। এসময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
পরে দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব তাকে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন-এর ৯ ধারায় দুই বছরের কারাদন্ড ও ১০০টাকা জরিমানা করেন। এসময় মো. আজিম উদ্দিন নোমান নামে ওই শিক্ষার্থীকে তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বাউবি‘র পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করেন ভাম্যমান আদালত।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বাউবি‘র অধীনে মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মাঝে নকল সরবরাহ করে আসছিল। এর আগেও তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, দোষ স্বীকার করায় কলেজের অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেনকে১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন-এর ৯ ধারায় দুই বছরের কারাদন্ড ও ১০০টাকা জরিমানা ও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
ইএফ