ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
এতে বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ৪০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন বলে জানা গেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশস্থল পলিটেকনিক মাঠ থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল করে স্টেশন চত্বর এলাকায় চলা আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা, রাস্তায় জনগণের চলাচলে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে।
বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস কর্মকাণ্ড এড়াতে শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা অবস্থান কর্মসূচি করার জন্য শহরের রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জমায়েত হয়। বিকেল তিনটার দিকে তারা অবস্থান নিলেও সাড়ে চার দিকে গোলযোগ শুরু হয়।
বিকেলের দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে কয়েকশ’ নেতাকর্মী নগরীর বাঘমারা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তারা রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুখোমুখি হলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের একজন এসআই ও মহনগর আওয়ামী লীগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আহত হন। পরে পুলিশ দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে হামলা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নিজেরাই আহত হয়।
পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ট্রেনে তুলে দেয়। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করায় আমরাও মামলা করব।’
টিএইচ