ঝড়-বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগের শিকার বরিশালবাসী

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৩:১৫ পিএম
ঝড়-বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগের শিকার বরিশালবাসী
  • মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেয়ে আসছে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে আরও উত্তাল হচ্ছে সাগর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালসহ উপকূলে ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের গতিও।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বরিশাল উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে এর প্রভাব পড়েছে বরিশাল নগরীতেও। ভোর রাত থেকেই শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ, পথচারী, কর্মজীবীসহ সব শ্রেণির মানুষেরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে চাকরিজীবীদের সকালে অফিসে যেতে দেখা গেছে।

বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক অনেকটা কম। প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে যারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছেন তাদের অনেককেই সিএনজি-রিকশা করে কর্মস্থলে যেতে হয়েছে। অন্যদিকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবার বৃষ্টির কারণে নগরীর অধিকাংশ অলিগলির দোকান পাট ও কাঁচাবাজার খুলেনি।

নগরীর নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী শাহিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার অফিস বরিশাল সির্ভিল সার্জন। আজ বৃষ্টি কারণে রাস্তাঘাটে গাড়ি সংখ্যা কম থাকায় প্রায় ১ ঘন্টা দাড়িয়ে ছিলাম। পরে বাধ্য হয়ে ১০০ টাকা দিয়ে রিকশায় এসেছি।

তিনি আরো বলেন, যেখানে ভাড়া লাগতো ১৫ টাকা। সেখানে দিতে হয়েছে ১০০ টাকা।

আরেক চাকরিজীবী ইমরান বলেন, আজ বৃষ্টির কারণে রিকশা ভাড়া দ্বিগুণ চাচ্ছে। অফিস আছে, কিছুই করার নেই। বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হয়েছে।

কবির নামের এক রিকশাচালক জানান, পরিবারের খাবার কিনতে হবে, তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রিকশা চালাতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলেও কিছু করার নেই। আমাদের তো রিকশা চালিয়ে ভাতের জোগাড় করতে হবে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৭১ মিলি মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়াও বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীতে ৫৫, ভোলায় ৩৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী  ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

কেএস