বগুড়ায় হত্যা মামলায় আতাউল হক সরকার ওরফে আতা সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বাবলু নামের এক কৃষককে হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১৫ বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আতাউল হক সরকার ওরফে আতা সরকারকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। জরিমানা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আতা সরকারের বাড়ি সোনাতলা উপজেলার উত্তর দীঘলকান্দি গ্রামে।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন-বেলাল সরকার, জুয়েল সরকার ও আলমগীর হোসেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি সাব্বির আহমেদ বিদ্যুৎ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দীঘলকান্দি গ্রামের বাবলুর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল আতাউর রহমানের। এর জের ধরে ২০০৭ সালের ৯ অক্টোবর বাবলু মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আতা সরকার তাকে মারধর করেন। এতে বাবলু গুরুতর আহত হন।
বাবলুকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেও মারধরের শিকার হন। বাবলুকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই বাবলু মারা যান।
ঘটনার পরদিন নিহতের শ্যালক সেলিম আকন্দ সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
এআই