ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো রাস্তা ও নিচু এলাকায় হাঁটুসমান পানি জমেছে, অনেকের বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকেছে।
নগরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আদনান জানান, সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ায় বৃষ্টির পানি জমে প্রথমে বাসার সামনের সড়ক তলিয়ে গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে বাসার ভেতরেই পানি ঢুকতে শুরু করে। আর এখন পানির মধ্যেই হাঁটাচলা করছি।
অপরদিকে নগরের আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা সুমন খান জানান, তার ঘরের ভেতর বর্তমানে হাঁটু সমান পানি। পানি বের হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। আশপাশের মাঠ, রাস্তা ও খালেও সমপরিমাণ পানি রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা নগরের কোনো ড্রেনের পানি নামতে পারছে না। ফলে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার বিকেল থেকে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরিনয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। পরিদর্শন শেষে তিনি নগরের জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নেওয়া খালের প্রকল্পগুলো অনুমোদন হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, খালগুলো খনন করা প্রয়োজন। পরিষ্কার করে কোনো লাভ নেই, খালগুলোকে উদ্ধার এবং পুনঃখনন করে স্থায়ীভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।
সন্ধ্যার পর থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। কোথাও কোথাও দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ নেই, আবার কোথাও বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে। বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে দীর্ঘসময় ধরে বরগুনা ও ভোলাতে বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা। সেই সাথে গতরাত থেকে পিরোজপুর সদরসহ বেশকিছু উপজেলায় বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রতিনিধি।
অন্যদিকে নগরের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, তেমনভাবে ঝড়ো বাতাস না বইলেও সারাদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ বার বার যাওয়া-আসার মধ্যে থাকায় এখন পরিবারের সবাই বিরক্ত।
এআই