খাগড়াছড়িতে আ.লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির মিথ্যাচার, প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০৬:০৪ পিএম
খাগড়াছড়িতে আ.লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির মিথ্যাচার, প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং

খাগড়াছড়িতে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল আজম এর মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার এর দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির মিথ্যাচার, মানহানিকর বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রেস ব্রিফিং করেছে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ ওয়াদুদ ভূইয়া অপপ্রচার ও খুনের রাজনীতি করে উল্লেখ করে তাকে পাহাড়ের দানব গডফাদার বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

বিএনপি সরকারের সময়ে খাগড়াছড়িতে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরসহ ফিরিস্তি তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা। প্রেস ব্রিফিং থেকে মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করেন। অন্যথায় বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি জানান।

প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখেন  খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শওকত উল ইসলাম।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র ও সাধারন সম্পাদক  নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জেলা আ.লীগের  দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দেউপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম, সদস্য শামীম চৌধুরী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি পিন্টু ভট্টাচার্যসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয়।

বিএনপির প্রেস ব্রিফিংকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, গত ১৯ অক্টোবর বাসায় যাওয়ার পথে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজমকে আইনজীবি ভবনের পেঁছনে বাসার রাস্তায় বিএনপির এক ক্যাডার পরিকল্পিতভাবে প্রাণনাশের চেষ্টা করে।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, আরেক নেতা মংসাথোয়াই মারমা শ্রমিক দল নেতা রতন ত্রিপুরা, বাদশা মিয়াসহ ৩০/৩৫ জন অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে হামলা চালায় বলে এতে অভিযোগ করা হয়।

কেএস