৫ মাস পর অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০২:০৪ পিএম
৫ মাস পর অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার

নাটোর সদরের হালসা এলাকা থেকে অপহরণের ৫ মাস পর অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধারসহ জাহিদ (২৩) নামে মূল অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সিংড়া উপজেলার চামারী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব-৫। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ সিংড়ার সূর্যপাড়া গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে র‍্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর কোম্পানী কমান্ডারের কার্যালয়  থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, আটক জাহিদ নাটোরের হালসা গ্রামের জনৈক মোঃ তৈয়ব আলীর স্কুল পড়ুয়া নাতনীকে বিভিন্ন সময়ে উক্ত্যাক্ত করত। পরবর্তীতে তাকে উক্ত্যাক্ত করতে নিষেধ করলে সে উক্ত্যাক্তের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। এরই একপর্যায়ে গত ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কয়েকজনের সহযোগিতায় স্কুল ছাত্রীকে তাদের বাড়ির সামন থেকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় জাহিদ। এ সময় ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন জাহিদের পরিবারের কাছে তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তারা ভিকটিমকে ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ভিকটিমের দাদা বাদী হয়ে জাহিদ ও তার বাবা শহিদুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করে গত ১ জুন তাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরণের পর ৩নং আসামি মোঃ শহিদুল ইসলাম কে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। কিন্তু ঐ মামলার ১নং আসামি মূল অপহরণকারী জাহিদ ভিকটিমকে নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।

পরবর্তীতে মামলাটি আমলে নিয়ে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী জোরদার করে র‍্যাব। এর প্রেক্ষিতে নাটোর র‍্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিংড়ার চামারী এলাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধারসহ মূল অপহরণকারী কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

রাজশাহীর র‍্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহঃ পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

স্কুল ছাত্রী অপহরণের মূল অপহরণকারী জাহিদকে গ্রেপ্তারের পর নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কেএস