সাকার বাসভবনে টানানো হলো ‘রাজাকার হিল’ সাইনবোর্ড

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৯:০২ পিএম
সাকার বাসভবনে টানানো হলো ‘রাজাকার হিল’ সাইনবোর্ড

পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার উদ্যোগে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে নগরীর জামালখানস্থ ‘গুডস হিলের’ মূল প্রবেশপথে ঘেরাও কর্মসূচি ও সমাবেশ করা হয়। 

এ সময় যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পারিবারিক বাসভবন গুডস হিলের মূল ফটকে নাম বদলে ‘রাজাকার হিল’ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন তারা। 

সাকা চৌধুরীর বাড়ি গুডস হিলের সামনের দেয়ালেও ‘রাজাকার বাড়ি’ লিখে দেয়া হয়। নগরের চকবাজার থানাধীন গনি বেকারির মোড়ে অবস্থিত এই ‘গুডস হিল’।

সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, গুডস হিলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এটি মূলত নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। তাই বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে হবে। বাড়ির ফটকে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে উপস্থাপিত ৫ দফা দাবিগুলো হলো-যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সব সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্যাতনের জন্য রাজাকার-আলবদর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা সকল ‘টর্চার ক্যাম্পকে’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, হুম্মামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের ও গ্রেফতার।

বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও চবির শিক্ষক ড. ওমর ফারুক রাসেল ও জেলার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলাম চৌধুরী মনি।

এই কর্মসূচি সফল করতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জামাল খান এলাকার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে একটি মশাল মিছিল বের করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। 

মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে একটি সভা করেন তারা। সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সাকাপুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বক্তব্য আলোচনার জন্ম দেয়।

টিএইচ