শশুর বাড়ির উপহারের পাতি হাঁসের কালো ডিম

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০৫:০৯ পিএম
শশুর বাড়ির উপহারের পাতি হাঁসের কালো ডিম

এবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম। উপজেলার নদী বিছিন্ন নারায়নপুর ইউনিয়নের যুবক ইব্রাহিম আলীর পালন করা পাঁচটি দেশী জাতের পাতিহাঁসের একটি পর পর দুদিন দুটি কালো ডিম দিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সেই ডিম দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন শতশত দর্শণার্থী।

ইব্রাহিম নারায়নপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পূর্ব নারায়নপুর পরামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে। সে কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। লেখা পড়ার পাশা পাশি বাড়িতে থেকে কৃষি কাজ করেন তিনি। ৬ মাস আগে শশুর বাড়ি থেকে পাঁচটি হাস উপহার পান তিনি। ৬ মাস প্রতিপালন করার পর গত ২৯ অক্টোবর একটি হাস ডিম দেয়। সকালে সেই ডিম দেখে অবাক হয়ে যায় ইব্রাহিম। সাদা ডিমের পরিবর্তে দেখতে পান কালো ডিম। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ওই ডিম দেখতে ছুটে আসে তার বাড়িতে। পরদিন ২৯ অক্টোবর আবার একই ধরনের আরেকটি কালো ডিম দেয় হাসটি। এ খবর ছড়িয়া পরলে দূর দূরান্ত থেকে ডিম দেখতে ছুটে আসে মানুষ জন।

ইব্রাহিম জানান, ৬মাস আগে উপহার পাওয়া পাঁচটি হাসের মধ্যে একটি হাঁসা। অপর চারটি হাঁসি। পাচটি হাঁসই দেশী প্রজাতির পাতিহাঁস। তাদেরকে অতিযত্নে সে এবং তার স্ত্রী রেহেনা বেগম প্রতি পালন করছেন। এদের মধ্যে দুটি কালো রং এর হাঁসি রয়েছে। তার একটি এমন কালোডিম দিয়েছে। 
তার স্ত্রী অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী। পড়াশোনার তাগিতে বাড়িতে না থাকায় কয়েক দিন থেকে হাসগুলোকে সেই দেখাশোন করছেন।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালো হাসের খোপড়া (বাসস্থান) খুলে দেই। হাঁসগুলো বের হয়ে গেলে একটি কালো ডিম সেখানে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। প্রথমে ডিমটি দেখে অবাক এবং ভয় খেয়ে যাই। পরে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ডাকি এবং ডিমটি বের করে আনি। পরদিনে ৩০ অক্টোবরর বিবার একই ধরণের আরেকটি ডিম পারে। এই খবরে প্রতিবেশী থেকে শুর করে দূর দূরান্তের গ্রাম থেকেও মানুষ এক নজর ডিমটি দেখতে আমার বাড়িতে ভীর করছে থাকে।

তিনি আরোও জানান, হাঁগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবেই সেগুলো প্রতিপালন হচ্ছে।

ইব্রহিমের বড় ভাই আব্দুল মজিত হাঁসের কালো ডিম দেয়ার খবর পেয়ে সে ছুটে আসেন। এ ডিম দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এর আগে এমন ডিম দেখেননি তিনি। সচরাচর হাসের সাদা ডিমই হয়।

৭০ বছর বয়সী দর্শনার্থী প্রতিবেশী মোজাহার আলী জানান, এই বয়সে এই বার প্রথম হাসের কালো ডিম দেয়ার কথা শুনলামএবং দেখলাম। ইব্রহিমের ভাবি সাহিদা বেগম জানান, হাঁসটি অন্যান্য হাসের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা করছে। কালো ডিম দেয়ারপরও।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়নপুরে পাতিহাঁসেরকালো ডিম পারার সংবাদটি পেয়েছি। এটি একটি বিরল ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। কারন হিসেবে তিনি জানালেন, হাসের জড়ায়ুতে কোন ইনফেকশন থাকার কারণে এমন হতে পারে। এছাড়া ডিম তৈরীর যে পরিমান পিগমেন্ডের দরকার তা যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

কেএস