গৃহহীন মানুষের জন্য মাথা গোঁজার ঠাই করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকরী উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দিতে ইউপি মেম্বার টাকা নিলেও ঘর বা টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি অসহায় পরিবার। বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তারা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোদ্দ বোতলাগাড়ীর এই ঘটনার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে এলাকার সরদারপাড়ার মো. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোরশেদা বেগম ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর কবির ময়নুলের কাছে ধর্ণা দেয়। এতে মেম্বার ঘর দেওয়ার জন্য ওয়াদা করে।
তবে ইউএনও, এসিল্যান্ড, তহশিলদার কে টাকা না দিলে সম্ভব হবেনা বলে জানায়। এর প্রেক্ষিতে ১ লাখ টাকা দাবী করে সে। ঘর পাওয়ার আশায় সুদের ওপর টাকা নিয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয় আনোয়ার হোসেন। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ পেরিয়ে গেলেও কোন ঘর বরাদ্দ না পাওয়ায় টাকা ফেরত চায়। এতে মেম্বার দীর্ঘ তিন মাস থেকে টালবাহানা করছে মেম্বার। ফলে ঘর ও টাকা কোনটাই না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভূমিহীন পরিবারটি।
আনোয়ার হোসেন জানান, মেম্বার ১ লাখ টাকা চেয়েছিল। অগ্রীম ৩০ হাজার টাকা দিয়েও এখন ঘর পাচ্ছিনা। আবার টাকাও দিচ্ছেনা। মোবাইলে এ সংক্রান্ত কথোপকথনের রেকর্ডিং আছে। অথচ টাকার বিনিময়ে অনেক স্বচ্ছল পরিবারকেও ঘর দেওয়া হয়েছে। এমনকি একই পরিবারের দুইজনকেও দিয়েছে মেম্বার।
যেমন খোদ্দ বোতলাগাড়ী পূর্ব হাজীপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে মো. আবু সাঈদ, ছামছুল ইসলামের রবিউল ও সবুজ, মৃত বটু মামুদের ছেলে রেজাউল, আতাউলের ছেলে নয়ন ইসলাম এবং দালালীপাড়ার মৃত হারিংগা মামুদের ছেলে জাবেদ আলী (মাইয়ালু)। তদন্ত করলেই এর প্রমান মিলবে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর কবির ময়নুল বলেন, ঘর দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আনোয়ার মূলতঃ পোড়ারহাট বাজারের দোকান নিতে টাকা দিয়েছে। সে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আমার প্রতিপক্ষরা অহেতুক হয়রানী করতে এমন অপপ্রচার চালিয়েছে মাত্র।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সাথে জড়িত কেউই পার পাবেনা বলেও জানান তিনি।
কেএস