টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে কমপক্ষে ৩টি বাড়ি-ঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ৮-১০ টি বাড়ীসহ কয়েক একর ফসলি জমি। প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের টুনি মগড়া নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন ভুক্তভোগী ওই পরিবারে সদস্যরা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, একই ইউনিয়নের আনালিয়াবাড়ি গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম শফি দীর্ঘদিন যাবত এলেংজানী নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় টুনিমগড়া মৌজার ঈদগাঁ মাঠ, মাদ্রাসার কিছু অংশ এবং তাদের ওই এলাকায় তিনটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকায় বালু খেকো শফি এতটাই প্রভাবশালী তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। ড্রেজার চালানোর প্রতিবাদ করলে মারধরসহ মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
তারা বলেন, প্রশাসন আসার আগেই শফি খবর পায় তাড়হিড়ো করে ড্রেজার খলে ফেলায় ড্রেজার ভাঙ্গতে পারে না।
ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন, মো. আাব্দুল হালিম, আবুল হোসেন, জামাল মিঞা, আলাল হোসেন, আমিনুর ইসলাম, সোমেজ মিঞা সোহেল রানা ,মুনছুর আলী ,মহির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমিসহ আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে। কিছু বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেলে আমরা কি করমু? কোথায় গিয়ে বাড়ি ঘর বানামু? ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় বসবাস করব কান্না জড়িত কন্ঠে তারা এসব বলেন।
তারা আারো বলেন, ড্রেজার ব্যবসায়ী শফি মগড়া পুলিশ ফাঁড়িকে টাকা পয়সা দিয়ে এ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। আমরা গরীব মানুষ কোথায় বিচার চাইবো? অবশ্য মগড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল হাকিম জানান বিষয়টি সত্য নয়।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন জানান, বিষযটি তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
কেএস