পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আফসোস করে বলেন, চালের দাম কোথায় গিয়ে থামবে তা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ জানতে চাইলে বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা চাল মজুদ করেন, বর্তমানে এলসি বন্ধের পথে এবং সরকার দুই টাকা দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে অস্থিতিশীল চলছে। দেশের পরিস্থিতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে মোটা ও চিকন ৫০ কেজি বস্তা প্রতি দুই থেকে তিনশ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার ৪২ টাকা চাল এবং ২৮ টাকা করে ধান কেনার ঘোষণার পরপর অস্বাভাবিক হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ১১শ টাকার ধান ১৫শ টাকায় চলছে। পাশাপাশি খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা রাইস মিল মালিকদের ছাড় দিচ্ছেন না।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীর বিভিন্ন আড়ত থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, আজকের বাজর ধর অনুসারে স্বর্ণ সিদ্ধ চাউল ২৩০০, ইন্ডিয়ান সিদ্ধ চাউল ২৫০০, পারিজা সিদ্ধ চাউল ২৬৫০, পাইজাম সিদ্ধ চাউল ২৭০০, জিরা সিদ্ধ চাউল ৩০০০-৩৪৫০, মিনিকেট সিদ্ধ চাউল ২৭০০-২৯০০, বেতী আতাপ চাউল ২৩০০-২৭৫০, বার্মা আতাপ চাউল ৩০০০, মিনিকেট আতাপ চাউল ২৯০০-২৯৫০, চিনি আতাপ চাউল ৫৫০০-৬২৫০, কাটারি আতাপ চাউল ৩৮০০-৩৮৫০, পারিজা আতাপ চাউল ২৮০০ ও নাজির শাইল চাউল ৩৬০০-৩৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা ও চিকন চালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সুগন্ধি ও সরু চালের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য উত্তরবঙ্গের রাইস মিল মালিক ও চালের করপোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করছেন তারা।
খুচরা পর্যায়েই পণ্যটির দাম চলতি দামের বেশি নেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন মিল ও মোকাম মালিকরা। নগরীর কাজির দেউড়ী, আগ্রাবাদে চৌমুহনীর কর্ণফুলী বাজার, ঝাউতলা বাজার ঘুরে সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা কেজি।
এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।কাজী দেউড়ীর সবজি বিক্রেতা মো. আফসার বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম।সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমে যাবে।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০৫-১১০ টাকা আর প্যাকেট চিনি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেড়েছে আটার দাম। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের দাম বেড়েছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১৪০ টাকা ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ টাকায়। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকায়।
এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়।
কেএস