দেশের উন্নয়নের মাইলফলক হবে পূর্বাচল

পূর্বাচল প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২, ০৪:০২ পিএম
দেশের উন্নয়নের মাইলফলক হবে পূর্বাচল

পূর্বাচল নতুন শহরকে পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত ‍‍`মেঘা সিটি’ হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য শহরটির সব ধরনের রূপান্তরে তথ্য প্রযুক্তি যুক্ত করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি (বিটিসিএল)।

পুরো প্রকল্পটি সাজানো হবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মাথায় রেখে। বিশ্বের সব ধরনের আইটি সুবিধা পাবে পূর্বাচলের বাসিন্দারা। প্রকল্পে আধুনিকতা এবং সৌন্দর্যের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

তার ধারাবাহিকতায় পূর্বাচল আবাসিক এলাকায়জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘের লেক। লেকের দুই ধারে থাকবে প্রায় ৮৬ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, নির্মাণ হবে ইকোপার্ক, থাকবে ঝুলন্ত ব্রিজও।

ঢাকার উপকণ্ঠের এই শহরে ১১১ তলাবিশিষ্ট আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের‍‍`ও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বঙ্গবন্ধু চত্বর সহ হবে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ফুটবল স্টেডিয়াম। দূতাবাস স্থাপনের জন্য কূটনৈতিক জোন।আধুনিক সব স্থাপনার শহর পূর্বাচলকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হবে বিশ্বের উন্নত শহর গুলোর আদলে।

এর আগে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবরে ১৩০৩.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গা জুড়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিদিন বদলাচ্ছে হতে যাওয়া এই মেঘা সিটির চিত্র। দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা বসছে বাজার ঘাট বাড়ছে পর্যটকও। এইদিকে দৃশ্যমান হয়েছে উন্নয়নের খণ্ড চিত্র এক্সপ্রেসওয়ে।

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১, ২ ও ৩ নং সেক্টর হয়ে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এটি ৩০০ ফুট চওড়া হওয়ার এর নাম ও পরিচয় মিলেছে ৩০০ ফুট নামে। আট লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে থাকছে ৬ লেনের সার্ভিসওয়ে ও দুই পাশে ১০০ ফুটের পাড় বাঁধানো খাল।

অত্যাধুনিক এই এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে না কোনো ধরনের স্টপওভার পয়েন্ট, সিগন্যালিং সাইন কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা। ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের যানবাহন চলবে আপন গতিতে। কারোর সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।

এর নির্মাণকাজ শেষ হলে একটি গাড়ি ৬-৭ মিনিটে বাধাহীনভাবে পার হওয়া যাবে সাড়ে ১২ কিলোমিটার পথ, যা হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে। পশ্চিমের প্রগতি সরণি ও বিমান বন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বে ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্তকারী এই সড়ককে বলা হচ্ছে দেশের অন্যতম পর্যটন স্থাপনাও। তাই এ সড়কের নির্মাণ শেষে পূর্বাচল হয়ে উঠবে আরও দৃষ্টি আনন্দ।

রাজউকের প্রকৌশল দপ্তরের তথ্যমতে , রাজধানী শহরের পাশে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন শহর করাই ছিল পূর্বাচল প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পের আওতায় ৬ হাজার ২৭৭ দশমিক ৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ অংশে রয়েছে ৪ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৩৬ একর এবং গাজীপুর অংশে ১৫০০ একর জমি, যা ৩০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। বাকি ১৫০ একর জমি ঢাকা জেলার খিলক্ষেত থানায় কুড়িল ফ্লাইওভার এবং লিংক রোড নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে।

এআই