ফরিদপুরে ১২ নভেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশে অংশ নিতে প্রথম দল হিসেবে শরিয়তপুর থেকে কয়েকশো নেতাকর্মী ফরিদপুরের কোমরপুরে জনসভাস্থল আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউট মাঠে এসে পৌঁচ্ছেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে বুধবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে তারা সমাবেশস্থলে এসে পৌছেন।
শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য গাউসুর রহমান জানান, রাত ৮ টার দিকে তারা চারটি ট্রাকযোগে শরিয়তপুর থেকে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে ফরিদপুরের গণসমাবেশস্থলে এসে পৌছেন। তাদের সাথে খোকন তালুকদার ছাড়াও শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহানদার আলী সহ নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদার বলেন, প্রথম দল হিসেবে রাতে শরিয়তপুর নেতাকর্মীদের একটি মাত্র অংশ এখানে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরো নেতারা আসবেন। প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী তাদের শরিয়তপুর জেলা থেকে এই গণসমাবেশে যোগ দিবেন। শরিয়তপুরের বিএনপির এই নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলেই রাত যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের এই বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়ক শামা ওবায়েদ ইসলাম জানান, সরকার এই গণসমাবেশে আসা জনস্রোত বাধাগ্রস্ত করতে নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এজন্য নেতাকর্মীরা আগেভাগেই সমাবেশস্থলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সারাদেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১২ নভেম্বর বেলা ১১ টায় গণসমাবেশ শুরু হবে। তবে যেহেতু পথে পথে নানা বাধা এবং গণসমাবেশে জনসমাগম সংকুচিত করতে সরকার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাই নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগে থেকেই এই গণসমাবেশ চলবে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার পর্যন্ত চলবে ফরিদপুরের এই বিভাগীয় গণসমাবেশ। এরপর প্রথম ধাপের কর্মসূচি শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি শুরু হবে।
এদিকে, বিভাগীয় গণসমাবেশের সর্বশেষ অবস্থা ও সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজখবর নিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার রাতে তিনি শহরের কাঠপট্টিতে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে সমবেত বিএনপি ও বিভিন্ন উপকমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে স্কাইপের মাধ্যমে সংযুক্ত হন বলে দলীয় সূত্র জানায়।
ফরিদপুরের বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, এই গণসমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। সমাবেশস্থল থেকে শহর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হবে এমন প্রস্তুতিই তারা নিচ্ছেন। আর গণসমাবেশ আয়োজনে আরো বাধা এলে প্রয়োজনে পাড়া মহল্লা, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়বে এই গণসমাবেশ। অবশ্য যেকোন মূল্যে তারা শান্তি শৃঙ্খলার সাথে গণসমাবেশ সফল করতে চান বলেও জানিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। তার আগে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের তৎরপরতা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও স্বাভাবিক রাখতে, জনগণের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক দায়িত্ব নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করছে।