সিরাজদীখানে রাস্তা পাকা করনের কাজে ধীরগতি

সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম
সিরাজদীখানে রাস্তা পাকা করনের কাজে ধীরগতি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাহেরকুচি-কাকালদী এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজের ধীরগতি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ২ বছর আগে রাস্তাটির মাটি খোরে রাখায় ধুলাবালি বাতাসে উড়ে মানুষের চোখে মুখে পড়ে। এছাড়া রাস্তায় ইটের খোসা (শুরকি) ফেলে রাখার কারণে মানুষজন দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বৃষ্টির পানি জমে কাদামাটিতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে একটি গ্রামের হাজারো মানুষসহ বিভিন্ন মাদরাসা এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে দ্রুত পাকা করনের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাহেরকুচি-কাকালদী দুই কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে পাকা করার জন্য মাটি খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ধুলাবালি বাতাসে উড়ে মানুষের চোখে মুখে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি জমে কাদা জমে রয়েছে এবং বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর ফলে দুর্ভোগ নিয়ে এলাকাবাসী চলাচল করতে হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাহেরকুচি-কাকালদী এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের জন্য ১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ পান মোনালিসা এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কাজ পাওয়ার পর থেকে মাটি খুঁড়ে রেখে তড়িঘড়ি করে সময় পার করছেন তারা।

বাহেরকুচি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, কয়েক বছর ধইরা রাস্তার মাটি খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদার। এখন রাস্তার মাটি বাতাসে উড়ে বাড়িঘর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া রিকশা দিয়ে চলাচল করার সময় ধুলা উড়ে চোখে মুখে পড়ে। খুব দুর্ভোগ নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ঠিকাদারকে কিছু না বলার কারণে এভাবে কাজ ফেলে রেখেছে তারা। আমরা দ্রুত রাস্তার কাজটি শেষ করে দেওয়ার দাবি জানাই।

মধ্যপাড়া ইউপির সাবেক সদস্য শাহ আলম জানান, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে রাস্তাটির মাটি খুঁড়ে রাখায় ধুলাবালুতে চলাচল করা যায়না এবং সামান্য বৃষ্টিতে কাদামাটি জমে একাকার হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালি করে রাস্তার কাজ ফেলে রেখেছে। আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটির কাজ শেষ করে দিবে, এতে করে মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে।

মধ্যপাড়ার ইউপির চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল করিম শেখ বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি মাটি খুঁড়ে রেখেছে। এর কিছুদিন পর তারা রাস্তায় ইটের খোসা (শুরকি) ফেলে রেখে গেছে। এখন মানুষজন এই ইটের খোসা (শুরকি) উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। এতে করে মানুষ জন দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে। ঠিকাদার রাস্তার উপরে থাকা ইটের খোসা (শুরকি) রোলার মেশিন দিয়ে ডলে দিয়ে গেলে ভালো হতো। তবে মানুষজনের এত দুর্ঘটনা হতো না। এখন ইটের খোসার (শুরকি) কারণে মানুষজনের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি আজকেও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি, তারা বলছে শীঘ্রই কাজ ধরে রাস্তার কাজ শেষ করে দিবে।

মোনালিসা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি একটু ঝামেলায় ছিলাম, তাই কাজটি করতে পারিনি। আশা করছি ইনশাল্লাহ এক মাসের মধ্যে কাজটি হয়ে যাবে। ইটের সংকট থাকায় আমরা কাজটি করতে পারছি না। এই সংকটটি দূর হলেই কাজটি শুরু করব।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি ১ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার হয়েছে। আমাদের অর্থ না থাকায় রাস্তার কাজ দ্রুত করতে পারছিনা। তাই দেরি হচ্ছে। তবে শীঘ্রই কাজ ধরা হবে।

এসএম