সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে শোনা যাচ্ছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
নিহত ব্যক্তির নাম আজমল হোসেন। তিনি উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুইপক্ষই ওই আজমলকে নিজেদের পক্ষের লোক বলে দাবি করেছে।
দিরাই থানার ওসি সাইফুল আলম আজমল হোসেন বলেন, আজমল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী কিনা জানি না।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার বেলায়েত হোসেনও বলেন, আজমল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে সম্মেলনে আগত অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়াবিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান, জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড সভাপতি কুবাদ আলী, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, দিরাই পৌরকাউন্সিলর মাছুম প্রদীপ, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অত্যন্ত অর্ধশত আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় এর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে সম্মেলন মাঠে এসে মঞ্চে উঠতে চাইলে দু’পক্ষের মাঝে শুরু হয় হাতাহাতি, ইটপাকটেল ও চেয়ার ছুড়াছুড়ি। পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে মঞ্চে বসা প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম নাহিদ সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ মঞ্চ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। সাধারণ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়। অন্তত আধা ঘণ্টা চলে দুপক্ষের সংঘর্ষ। পুলিশ পরিবেশ শান্ত করলে ঘণ্টা খানেক পরে শুরু হয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুজ সামাদ, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক , শামীমা খানম। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন।
প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, যারা আজকের সম্মেলনে নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের রেহাই নেই।
তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি সহ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সুতরাং আওয়ামী হচ্ছে জনগণের দল।
তিনি আরও বলেন, যারা এই সম্মেলন কে বানচাল করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
কেএস