সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আদালত কতৃক ১৪৪ ধারা জারি করা থাকা শর্তেও সাবেক সেনা সদস্যের জায়গা দখল করে ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে, চালের টিন কেটে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত জায়গায় আদালত কতৃক স্থিতি (১৪৪ ধারা) জারি করা থাকলেও তা মানছেন না স্থাপনা নির্মাণ করা পক্ষটি। বিষয়টি উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ জানলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্য কামরুল হাসান।
উল্লাপাড়া উপজেলার ঘোঁষগাঁতী পালপাড়া এলাকার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্য মো. কামরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, আমি ১৯৮৯ সালে জায়গাটি জায়গাটির তৎকালীন মালিক তফি মহত এর কাছ থেকে ক্রয় করি। তারপর থেকে এখানেই বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছি। হঠাৎই উল্লাপাড়ার আব্দুস সামাদের পুত্র ও হ্যালো উল্লাপাড়ার মালিক আসাদুজ্জামান তোতা আমার বাড়ির ২ শতক জায়গা দখল করে নেয়। তখন আমি আদালতের শরনাপন্ন হই। এ ঘটনায় একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত জায়গায় স্থিতি জারি করেন ও আরেকটি মামলা চলমান।
তিনি আরও বলেন, তবুও আসাদুজ্জামান তোতা লিজ সূত্রে জায়গার মালিক দাবি করে আমার উক্ত জায়গার ওপরে থাকা আমার কিছু গাছ কেটে ও বাড়ির ঘর ভাঙচুর করে ও টিনের চাল কেটে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছেন। বিষয়টি উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে অবগত করলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান তোতা বলেন, জায়গাটি আমার ক্রয় করা সম্পত্তি। অন্যের জায়গা দখল করে আমি যে স্থাপনা নির্মাণ করছি তাদের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর জায়গাটিতে আগে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও এখন কোন স্থিতি আদেশ নেই। ওই জায়গার পাশেই যেহেতু তাদের বাড়ি তাই আমিও চাই তাদের কোন সমস্যা না হোক।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আদালত ১৪৪ ধারা জারি করলে সে ক্ষেত্রে দুপক্ষকেই পরিবেশ স্বাভাবিক রেখে স্বস্ব সম্পদ ভোগ দখল করতে বলা হয়। তবে এর ব্যত্যয় ঘটলে বা কেও অন্যের সম্পদ দখল বা ভাঙ্গচুর করলে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এই বিষয়ে তিনি থানায় কোনও অভিযোগ দেননি ও বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
কেএস