কিশোরগঞ্জ প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. মির্জা কাউসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) মেডিকেল কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আ ন ম নওশাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি কয়েক মাস আগে এ মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার স্ত্রীও একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে মির্জা কাউসারকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে থাকার অভিযোগ উঠেছে কাউসারের বিরুদ্ধে। সেই সংগঠনের অর্থদাতা হিসেবে কাজ করে আসছিলেন তিনি।
জানা গেছে, মির্জা কউসারের বাবা আব্দুল হাকিম। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উজানচর। তিনি কিশোরগঞ্জ সদরে খরমপট্টি বায়তুল আমান মসজিদের পেছনে একটি বাড়িতে স্ত্রী ও এক মেয়েসহ ভাড়া থাকতেন। ২০১১ সালে কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ওই মেডিকেলের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দেন। তার স্ত্রী ডা. শিমুল প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। ডা. মির্জা কাউসার জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় মেডিক্স নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন।
তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে রটেছিল। তবে এখন জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে চলে আসায় জেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে।
কেএস