সখীপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফলন

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ০৪:০৭ পিএম
সখীপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফলন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রোপা আমন চাষের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপজেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১৫ হাজার ৮২০হেক্টর জমিতে রোপা আমন  ধান চাষ করা হয়েছে। আর ধান উৎপাদনে সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২৫ টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে  কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই কম হওয়ার চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

দুচোখ মেলে তাকালে দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহে সোনালী ধানের শীষ দোল খাচ্ছে  বাতাসে। পাকা সোনালী ধানের আভায় স্বপ্ন দেখছে কৃষক। ধানের ভালো ফলনের ভারে ধানের শীষ নুয়ে পড়েছে মাটির দিকে। দিন যতই যাচ্ছে ধানের রূপ ততই বদলে যাচ্ছে। ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর এই অঞ্চলের কৃষক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নবান্ন উৎসবের।

সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব ক্ষেতের ধান কাটার জন্য উপযুক্ত হয়েছে, সেসব জমিতে  শ্রমিক নিয়ে ধান কেটে তা মাঠে শুকানোর জন্য ফেলে রেখেছেন। শুকানো হলে সেগুলো আঁটি বেঁধে গৃহস্থের গোলায় তুলতে সেগুলো মাড়াই করছেন। এবার সন্তোষজনক ফলন পাবেন বলে কৃষকদের আশা।

উপজেলার বহুবিয়া  ইউনিয়নের কালমেঘা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, দুই বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিছু ধান কেটে বাড়িতে এনেছি। দামও ভালো। নতুন আমন ধান এক হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামের স্কুল শিক্ষক ও কৃষক আলী আকবর  বলেন, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কাছে থেকে বিনামূল্যে ব্রি ধান -৭৫‍‍`র  বীজ ও সার পেয়ে দুই বিঘা  জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। ধানের দামো অনেক ভালো ।এবারো  বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার পেয়েছি। সরিষা তুলে সেখানে আবার বোরো ধানের চাষ করবো।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, ভালো ফলন পেতে মাঠ পর্যায়ে আমি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়েছি। এবার ব্রি ধান-৭৫ চাষ হয়েছে। এতে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

এসএম