জেলার আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম সুরুজের ছবি ভাঙচুর করার ঘটনায় আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা কর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
শনিবার জেলার আদিতমারী উপজেলার আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও সমাবেশ ছিল। এ সময় বিএনপির জামাতে সশস্ত্র ক্যাডারদের সাথে নিয়ে সাবেক বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও প্রয়াত বিএনপি নেতার পুত্র রফিকুল ইসলাম দলীয় কার্যালয় হামলা ও ভাংচুর করে।
এসময় দলীয় কার্যালয়ে রক্ষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২০০৩ সালে ২২ ডিসেম্বর বিএনপি জামাতের নির্মম পৈশাচিক বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম সুরুজের( জেলা আ`লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) ছবি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশের) সভাপতি ভাদাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত রায় বিদু বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, মন্ত্রী পুত্র, মন্ত্রীর এপিএস গত ১৯ নভেম্বর নীলফামারীর অবসরে গিয়ে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেছে। সে কমিটিতে সভাপতি বিএনপি নেতা, তিন জন সহ সভাপতি বিএনপি নেতা, সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতার পুত্র, সাধারণ সম্পাদকের গাড়ি চালক কমিটিতে সদস্য, মন্ত্রীর এপিএস মিজান সাংগঠনিক সম্পাদক। অথচ আমরা দুই ইউপি চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য হতে পারলাম না। যার ফলে তৃণমূল নেতা কর্মীরা ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীদের নিয়ে পৃথক কমিটি ঘোষনা দিয়েছে। তিনি মন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রী পুত্র ও এপিএসের লাগাম টেনে ধরে তদন্তপূর্বক কমিটি ঘোষণায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কেএস