ঋণ গ্রহণ, শেয়ার হোল্ডার, পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স নিতে, ঠিকাদারী লাইসেন্স, চিকিৎসা সেবা দিতে, জমি ক্রয়, আগ্নেয় অস্ত্রের লাইসেন্সসহ দেশের ৪০টি আর্থিক সেবা পেতে এখন আয়কর রির্টান দাখিলের প্রচলন করায় ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, ঠিকাদারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের মাঝে রির্টান দাখিলের আগ্রহ বেড়েছে। ৩০ নভেম্বর কর দিবসকে সামনে রেখে ঝিনাইদহ উপ কর কমিশিনারের কার্যালয়ে কর দাতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, ডাক্তার ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের রির্টান দাখিল করছেন।
এছাড়া প্রথম বারেরমত অনলাইনেও যথেষ্ট পরিমাণ করদাতা তাদের রির্টান জমা দিচ্ছেন বলে জানা যায়। বিগত বছরের তুলনায় এবার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে রির্টান দাখিলের পরিমান বেশী হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে।
ঝিনাইদহের সহকারী কমিশনার (ট্যাক্্র) মোঃ শিহাব উদ্দীন আহম্মেদ জানান, গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার কর দাতা সরাসরি এবং অনলাইনে আরও ৬শত গ্রাহক তাদের রির্টান জমা দিয়েছেন। এখনো দিন বাকী আছে আমরা আশা করছি আমাদের টার্গেট পূরণ হবে।
গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৯- ঝিনাইদহ সার্কেলে আয়কর জমার টার্গেট ছিল ৪৮ কোটি ১০ লাখ যা যথা সময়ে পূরণ হয়েছে বলে তিনি জানান, এছাড়া এবছর ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে আয়কর জমার টার্গেট আছে ৫৪ কোটি ২৯লাখ যা পূরণ হবে বলে তিনি আশাবাদি। সহকারী অধ্যাপক কে এম সালেহ, গৃহিনী মমতাজ বেগম ও ব্যাংকার ফিরোজ আহম্মেদ সহ বেশ কয়েকেজন করদাতা বলেন অনলাইনে ফরম পূরণ আর একটু সহজ হলে গ্রাহকদের আর কষ্ট করে অফিসে এসে ভীড় জমাতে হতোনা।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার বলেন, রির্টান আর একটু সহজ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে কতৃপক্ষের নিকট আলোচনা করবো।
স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য যাদের বছরে আয় ৩লক্ষ টাকার বেশী তারা এবং মহিলা, তৃতীয় লিঙ্গ ও ৬৫ বছরের উর্ধ্বে বয়স তাদের ক্ষেত্রে ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় হলে আয়কর দিতে হবে। তাছাড়া চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাসিক ১৬হাজার টাকার উপরে স্কেলধারীদের ক্ষেত্রে রির্টান দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কেএস