এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দিনমজুর শিক্ষার্থী আসিফ হোসেনের। ভাল ফলাফল করার পরও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আসিফ ও তার শারীরিক প্রতিবন্ধী মা আছমা বেগম।
আসিফ হোসেন জানান, ৩ বছর বয়সে তার বাবা মনির হোসেন তাদের ছেরে অন্যত্র চলে গেলে মার সাথে সদর উপজেলার আগদিঘা গ্রামে দরিদ্র নানার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। মা ও নানা-নানির ইচ্ছায় স্কুলে ভর্তি হন। দিন মজুরি করে সংসারে সহায়তা করার পাশাপাশি নিজের লেখা পড়ার খরচ যুগিয়েছেন। মা শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ কাজেও নিতে চায়না। নানা দিন মজুরি ও নানি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর স্কুলের শিক্ষকরা তার লেখা পড়ার খরচের যোগ দিয়েছেন। পোশাক, বই ও খাতা কলম দেয়া সহ বিনা পয়সায় প্রাইভেটও পড়িয়েছেন। পরীক্ষার ফিও জমা দিয়েছেন তারা। স্কুলের মহসিন আলী মহন ও শাহিন স্যার সব চেয়ে বেশী সহযোগীতা করেছেন। আগদিঘা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেলে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার।
আসিফের উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার মা আছমা বেগম ও নানি মউফুল বেগম প্রধানমন্ত্রী সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহসিন আলী ও শাহিন আলম বলেন, আসিফ হোসন খুবই মেধাবী। খুব দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় তাকে দিনমজুরি করে সংসারে সহযোগীতা করার পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হয়েছে। আমরা তাকে আমাদের সাধ্যমত সহায়তা করেছি। কলেজে ভর্তি হওয়ার মত সামর্থ তার পরিবারের নেই। মা একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার পক্ষে কলেজে ভর্তি হওয়া সহ লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার অর্থের যোগান দেওয়ার তার পক্ষে অসম্ভব। তাকে সহায়তার জন্য সামথ্যবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
এসএম