হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভেক্যু মেশিন দিয়ে ৯টি অবৈধ ইটভাটার কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৯টি ইটভাটার মালিককে মোট এক কোটি ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ইটভাটাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন, ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেসা আক্তার।
এ সময় টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক তুহিন আলম, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধরসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রমতে, জরিমানা ও গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো, নিউ সান ব্রিকস্ ২০ লাখ টাকা, জেএমবি পলাশ এন্টারপ্রাইজ ২০ লাখ টাকা, এইচবিএম এন্টাপ্রাইজ ২০ লাখ টাকা, নিউ এমবিএম ব্রিকস্ এন্টাপ্রাইজ ২০ লাখ টাকা, নিউ দেওয়ান ব্রিকস্ ২০ লাখ, এমআরবি শিকদার ব্রিকস্ ৫ লাখ টাকা, হাজী আনছার আলী ব্রিকস্ ৫ লাখ টাকা, জেএসবি এন্টারপ্রাইজ ৫ লাখ টাকা এবং ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা হয়। এছাড়াও প্রায় ২ লাখ পিস কাঁচা ইট পানি দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক তাপস চন্দ্র পাল বলেন, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় ৯টি ইটভাটা ভেঙে এবং এক কোটি ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর দেশের সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা ও ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধও নিশ্চিত করতে সকল জেলা প্রশাসকদের সাত দিনের মধ্যে কার্যকর নির্দেশনা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও পরিবেশসচিবকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ইএফ