ভালোবাসার টানে পালিয়ে গেলেও পিছু ছাড়েনি যৌতুক

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম
ভালোবাসার টানে পালিয়ে গেলেও পিছু ছাড়েনি যৌতুক

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নুসরাত জাহান (১৬) নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের জের ধরে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা শশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন মেয়ের পরিবার। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নুসরাতের লাশ।

গত ১১ মাস আগে জাজিরা পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মতি সাগর মৌলবিকান্দির বাসিন্দা দুলাল মাদবরের বড় মেয়ে নুসরাত জাহান (১৬) ভালোবেসে পালিয়ে যায় জাজিরা ইউনিয়নের মোহাম্মদ সৌয়ালের ছেলে রাসেল সৌয়ালের সাথে। কিছুদিন এই বিয়ে পরিবার না মেনে নিলেও মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে পরে মানে নিতে বাধ্য হয়।

তবে মূল ঘটনার সূত্রপাত হয় বিয়ে মেনে নেওয়ার পর থেকে। বিয়ে পরপরই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী রাসেল সৌয়ালের পরিবার। একসময় রাসেলের বিদেশ যাওয় বাবদ ২ লক্ষ টাকা নেন রাসেলের পরিবার। এতে থেমে যায়নি রাসেলের পরিবার। আবারও দাবি করতে থাকে যৌতুক।

নিহত নুসরাতের বাবা দুলাল মাদবরের অভিযোগ দীর্ঘসময় ধরেই যৌতুকের দাবিতে নুসরাতের গায়ে হাত তুলতেন তার স্বামী, শাশুড়ি এমনকি পাশের বাড়ির ননদও।

যদিও বলা হয়েছে ১০ টায় মারা গেছে তবে বাবা সন্দেহ করছে রাতেই মারা হয়েছে নুসরাতকে, এরপর ঘটানো হয়েছে আত্মহত্যার নাটক।

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আজকে সকালে নুসরাত জাহান নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি আমরা। মেয়েটির লাশ গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কোন্দলকে দায়ী করছে আশপাশের লোকজন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনও দায়ের করা হয়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট আসলে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

কেএস