বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের গেটে ছুরিকাহত শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিম মারা গেছেন।
১০ দিন চিকিৎসাধীন থেকে রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেকের অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।
নিহত মেহেরাজ হোসেন ফাহিম (২৬) ফাহিম মেডিকেলের ২৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি ঢাকার সবুজবাগ এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনের লিংক রোডে বাকবিতণ্ডার জেরে শাকিল বেপারি (২৫) নামে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা তার পেটে ছুরিকাহত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ছুরিকাহতের পরপরই শাকিল পালিয়ে গেলেও তার বাবা ফরিদকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন সোনাতলা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শাকিলকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার বাবা-ছেলেকে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শজিমেক হাসপাতালের সামনের লিংক রোডে ফুটপাতে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন ফরিদ বেপারী ও তার ছেলে শাকিল। তাদের কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিলেন ফাহিম। ঝালমুড়ি খেতে ভালো না লাগায় বিক্রেতার সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি ঝালমুড়ির প্যাকেট দিয়ে বিক্রেতা ফরিদের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় ফরিদের ছেলে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে পেঁয়াজ কাটার ছুরি দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে তার বন্ধুরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফরিদ বেপারীকে আটক করে।
ঘটনার পর রাত ৯টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা৷ আসামি গ্রেপ্তারের আশ্বাসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ফাহিমকে শজিমেকেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ২৮ তারিখে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে এভারকেয়ার হাসপাতালে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফাহিম মারা গেছে।
কেএস