বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বস্ত্রখাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। এ ধরণের আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) নরসিংদীর শাহেপ্রতাপে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউটের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লে. কর্ণেল অব. মোহাম্মদ নজরুল ইসরাম, বীরপ্রতীক, এমপি, তামান্না নুসরাত (বুবলী, এমপিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের তাঁতশিল্পের সুনাম ছিল গৌরবময় এবং জগদ্বিখ্যাত। বাংলাদেশের তাঁতশিল্প ও তাঁত শিল্পীরা এ দেশের বস্ত্রশিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এই শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। হস্তচালিত তাঁতশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কুটিরশিল্প। তাঁতশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশের তাঁতশিল্পের আধুনিকায়নের বিভিন্ন কার্যকরী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। দেশে ও বিদেশে তাঁতজাত পণ্যের ব্যাপক প্রসারে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবনের জন্য দেশের বিভিন্ন তাঁতসমৃদ্ধ অঞ্চলে ফ্যাশন ডিজাইন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি, নবীন শিক্ষার্থীদের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করে চাকুরির পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে "রূপকল্প-২০৪১" কে সমানে রেখে সরকার তাঁত ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও তাঁতশিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার।
টিএইচ